Friday, August 19, 2016

পানতুমাই সীমান্তের কোলে এক নিভৃত গ্রাম

সিলেট জেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়ন-এর পানতুমাইকে বলা হয় বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর গ্রাম। ভারত এবং বাংলাদেশের সীমান্তের নিভৃত কোলে মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে
অবস্থিত এই গ্রামটি। আটচল্লিশটি গ্রাম নিয়ে এই পশ্চিম জাফলং ইউনিয়ন গঠিত এবং প্রায় ৬৯,০০০ মানুষ এই ইউনিয়ন-এ বাস করেন। অনেকে এই গ্রামের নাম "পাংথুমাই" বলেন, কিন্তু মতভেদে এর সঠিক উচ্চারণ "পানতুমাই"। 

বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর গ্রাম হচ্ছে “পানতুমাই” । নয়নাভিরাম, নান্দনিক, অপূর্ব, হৃদয়স্পর্শী সবগুলো শব্দই এই নামের সঙ্গে লাগালেও এর সৌন্দর্যের বিশ্লেষণ শেষ হবে না । বাংলাদেশেই যে এত চমৎকার একটি গ্রাম আছে তা অনেকেরই অজানা । রূপের শহর, রূপের নগরী বলে অনেক শহরেরই খেতাব আছে । কিন্তু বাংলাদেশের মতো ছোট একটি দেশের ছোট্ট একটি অনিন্দ্য সুন্দর গ্রামের কোন খেতাব নেই।

বাংলাদেশের কোল ঘেঁষে প্রতিবেশী ভারতের মেঘালয়ের গহীন অরণ্যের কোলে বাংলাদেশ পানে নেমেছে অপরূপ এক ঝরনাধারা। ঝরনাটির স্থানীয় নাম ফাটাছড়ির ঝরনা; কেউ কেউ একে ডাকেন বড়হিল ঝরনা বলে। ঝরনাটি ভারতের মধ্যে পড়লেও পিয়াইন নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে খুব কাছ থেকে দেখা যায়। পাশেই বিএসএফের ক্যাম্প। বরইগাছের সারি দিয়ে এখানে দুই দেশের সীমানা ভাগ করা। এখানে বিজিবির কোনো চৌকি নেই। তাই সীমানার কাছাকাছি যাওয়া বিপদজনক। শোভন বলে, সব ঝর্না গুলাই ভারত নিয়া গেছে।

পাহাড় ঘেঁষা আঁকাবাঁকা রাস্তা পানতুমাই গ্রামের বৈশিষ্ট্য। গ্রামের শেষে পাহাড়ি গুহা থেকে হরিণীর
মতোই লীলায়িত উচ্ছল ভঙ্গিমায় ছুটে চলেছে সঠিক নাম না জানা এই ঝরনার জলরাশি। ছিটকে পড়ে মেলে ধরছের রূপের মাধুরী। ভ্রমন প্রিয়াসু তানভির নাবিল বলেন, “অনেক আগে ঝরণার কাছে যাওয়া যেত।গোসল করা যেত, বিএসএফ এর ক্যাম্প ছিল না। কিন্তু বাঙালী আর খাসিয়া মারামারি হওয়ার কারণে এখন যাওয়া নিষেধ।” তবে নিরাপদ দূরত্ব রেখে এর অপরূপ সৌন্দর্য অবলোকন করা যাবে।

পানতুমাই সিলেট জেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের একটি গ্রাম যা ভারত সীমান্তের মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে  অবস্থিত । পানতুমাই গ্রামকে  যদিও অনেকে  “পাংথুমাই” বলে ডাকে কিন্তু এর সঠিক উচ্চারণ “পানতুমাই” । পথের শেষ নেই, পাহাড় ঘেঁষা আঁকাবাঁকা রাস্তাই পানতুমাই গ্রামের অন্যতম  বৈশিষ্ট্য । আঁকাবাঁকা পথ পাড়ি দিয়ে সহজেই হারিয়ে যাবেন প্রকৃতির মাঝে ।
গ্রামের শেষে পাহাড়ি গুহা থেকে হরিণীর মতোই লীলায়িত উচ্ছল ভঙ্গিমায় ছুটে চলেছে সঠিক নাম না জানা  ঝরনার জলরাশি । ছিটকে পড়ে মেলে ধরেছে তার রূপের মাধুরী । ভ্রমন প্রিয়াসু মানুষদের ঝর্ণার কাছাকাছি যাওয়া নিষেধ । অনেক আগে ঝর্ণার কাছে যাওয়াও যেত, ঝর্ণার পানিতে নেমে  গোসলও করা যেত, বিএসএফ এর ক্যাম্প ছিল না সেই সময়। 

পানতুমাই গ্রামে ঢোকার মুখেই চমকে যেতে হয়। দূরের মেঘালয় পাহাড়গুলো যখন চোখের সামনে চলে আসে, তখন মনে হয় হাত বাড়ালেই ধরা যায়।

কিভাবে যাবেন এবং কোথায় থাকবেন ?

সিলেটের আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে সিএনজি নিয়ে যাবেন গোয়াইনঘাট থানা সংলগ্ন বাজারে । ভাড়া পড়বে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা । সেখান থেকে আরেকটি সিএনজি-তে পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের পাংথুমাই বা পানতুমাই যেতে ভাড়া লাগে মাত্র ১৫০ থেকে ২০০ টাকা । পানতুমাইয়ে কোনো খাবার হোটেল বা থাকার ব্যবস্হা নেই কারন এটা কোন পর্যটন স্থান না। স্থানীয় বাজার প্রায় এক দেড় কিমি দূরে সুতরাং  শুকনা খাবার অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে । রাতে থাকতে চাইলে স্থানীয়দের সহায়তা নিয়ে থাকতে পারবেন । এক্ষেত্রে আপনার ২০০-৩০০ টাকা ব্যয় হতে পারে