Monday, August 22, 2016

এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম নয়নকাড়া গুটিয়া মসজিদ

অত্যন্ত আশ্চর্যজনক হলেও আমরা অনেকেই জানি না, এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম জামে মসজিদ বাংলাদেশের বরিশালে অবস্থিত! মসজিদটির নাম বাইতুল আমান। গুটিয়া মসজিদ নামে খ্যাত এই মসজিদটি বরিশাল শহর
থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার দূরে উজিরপুর থানার গুটিয়া ইউনিয়ানের চাংগুরিয়া গ্রামে অবস্থিত। ১৪ একর জমির উপর প্রথম ২০০৩ সালে মসজিদটির স্থাপনার কাজ শুরু হয়।  প্রায় ২ লক্ষ ১০ হাজার শ্রমিকের অক্লান্ত পরিশ্রমে ২০০৬ সালে এটি উদ্বোধন করা হয় এবং সে বছরই সর্ব সাধারণের জন্য এটি খুলে দেওয়া হয়।

 

২০০৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর উজিরপুরের গুঠিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা শিক্ষানুরাগী এস. সরফুদ্দিন আহম্মেদ সান্টু চাংগুরিয়ার নিজবাড়ির সামনে ব্যক্তিগতভাবে গুঠিয়া বাইতুল আমান জামে
মসজিদ- ঈদগাহ্ কমপ্লেক্স এর নির্মান কার্যক্রম শুরু করেন। ২০০৬ সালে উক্ত জামে মসজিদ - ঈদগাহ্ কমপ্লেক্সের নির্মান কাজ সম্পন্ন হয়।এই মসজিদ কমপ্লেক্সের ভেতরে একটি বৃহৎ মসজিদ-মিনার, ২০ হাজার অধিক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ঈদগাহ্ ময়দান, এতিমখানা, একটি ডাকবাংলো, গাড়ি পার্কিংব্যবস্থা, লেক-পুকুরসহ বিভিন্নপ্ রজাতির ফুলের বাগান রয়েছে। কমপ্লেক্সের মূল প্রবেশ পথের ডানে বড় পুকুর।পুকুরের পশ্চিম দিকে মসজিদ,
  এক সঙ্গে প্রায় দেড় হাজার মুসল্লী নামাজ পড়তে পারে। মসজিদ লাগোয়া মিনারটির উচ্চতা ১৯৩ফুট । ঈদগার প্রবেশ পথের দুই ধারে দুটি ফোয়ারা আছে। এই মসজিদের নির্মাণ কাজে প্রায় ২ লাখ ১০ হাজার নির্মান শ্রমিক কাজ করেছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায় ।পরে গুঠিয়ার নামেই মসজিদটি পরিচিতি লাভ করে।


ইউরোপ, এশিয়া এবং মধ্য প্রাচ্যের নামকরা মসজিদগুলোর নকশা অনুকরনের প্রায় ২১ কোটি টাকা
ব্যয় করে নয়নাভিরাম এই মসজিদটিতে ব্যাবহার করা হয়েছে উন্নমানের কাঁচ, ফ্রেম, এবং বোস স্পিকার, যেটির কারনে এই মসজিদের আজান বিশেষভাবে শ্রুতিমধুর হয়েছে। মসজিদটির বিশাল সীমানার মধ্যে আরও আছে মাদ্রাসা, এবং বাগান। এই মসজিদটির তত্ত্বাবধানে ৩০ জন কর্মচারী নিয়োজিত আছেন। মহিলাদের নামাজ আদায়ের জন্য আলাদা ব্যাবস্থা রয়েছে মসজিদটিতে।


প্রতিদিন হাজারো দর্শণার্থী মসজিদ দেখতে এবং নামাজ পড়তে যান। এখানে জম জম কূপের পানিসহ কাবা শরীফ, আরাফার ময়দান, জাবালে নৃর, জাবালে রহমত, নবীজীর জন্মস্থান, মা হাওয়া এর কবর স্থান, খলিফাদের কবরস্থান, মসজিদে রহমত সহ বিখ্যাত মসজিদ এবং বিখ্যাত জায়গা সমৃহের মাটি সংরক্ষন করা আছে।

কিভাবে পৌঁছাবেন:

ঢাকা থেকে বরিশালে সড়কপথে আপনি ৬ থেকে ৮ ঘণ্টায় পৌঁছে যাবেন। প্রতিদিন ভোর ৬ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত গাবতলি বাস টার্মিনাল থেকে বেশকিছু বাস বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। বেশীরভাগ বাস পাটুরিয়া ঘাট অতিক্রম করে বরিশালে যায় আবার কিছু কিছু বাস মাওয়া ঘাট অতিক্রম করে বরিশালে যায়। ঢাকা থেকে আগত বাসগুলো বরিশালের নখুলাবাদ বাস স্ট্যান্ডে থেমে থাকে।


ঢাকা থেকে বরিশালে চলাচলকারী বাসগুলোর মধ্যে আছেঃ শাকুরা পরিবহন, ঈগল পরিবহন, হানিফ পরিবহন।

কোথায় থাকবেন:

বরিশালে থাকার জন্য বেশকিছু হোটেল রয়েছে


খাবার সুবিধা:

সামুদ্রিক খাবারের জন্য বরিশালের খ্যাতি আছে। এছাড়াও, এখানকার রেস্টুরেন্টগুলোতে আপনি দেশী ও স্থানীয় খাবারও পেয়ে যাবেন।