চট্টগ্রাম – অপরূপা ফয়েজ লেক
বৈচিত্র্যময়
পাহাড় সাগর ও বিচিত্র মানুষের আকর্ষণীয় বন্দরনগরী চট্টগ্রাম বাংলাদেশের দ্বিতীয়
বৃহত্তম শহর। চট্টগ্রাম দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত এবং এ জেলাটি নদী, সাগর
ও পাহাড় ঘেরা। চট্টগ্রামের সুউচ্চ পাহাড়, নদী, সাগরের দৃশ্য দেখে ভ্রমন পিপাসুরা মুগ্ধ
হতে বাধ্য। পাহাড় ও লেকের মাঝে সুরম্যা ফটক বেষ্টিত ফুলে ফলে ও সবুজ পল্লবে ভরপুর
ও মন ভোলানো খেলাধুলায় সুসজ্জিত ফয়েজ লেকের অপূর্ব সৌন্দর্যে যথেষ্ট অভিভূত হতে
হবে আপনাকে। এই প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী/নয়নাভিরাম ফয়েজলেক এতই সুন্দর যে বার বার যেতে
মন চাইবে, ইচ্ছে হবে না ফিরে আসতে ফয়েস লেক এর লেকের অবিস্মরণীয় প্রাকৃতিক দৃশ্যকে
ফেলে রেখে।
বাংলাদেশের
বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার নারী পুরুষ, শিশু কিশোরেরা ঐতিহাসিক এই
ফয়েজ লেকে এসে ভিড় জমায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। তারা আকাশের প্রান্তে পৌঁছানো
পাহাড়ের চূড়ায় তাকিয়ে শুধু মুগ্ধ হয় না, গভীর থেকে গভীরে নিপতিত লেকের পানি প্রবাহ
দেখে দেখে অভিভূত হয়ে উঠে । শুধু সবুজ আর সবুজের ঘেরা গাছপালার পাহাড় আর টলমলে
পানির লেক।
চট্টগ্রামের
পাহাড়তলী এলাকায় অবস্থিত এটি একটি কৃত্রিম হ্রদ। প্রাকৃতিক অনন্য সৌন্দয্যের
অধিকারী সবুজ পাহাড়ে ঘেরা ফয়ে’স লেক পাহারতলী রেলওয়ে স্টেশনের পূবে ও খুলশী আবাসিক
এলাকার পশ্চিমে অবস্থিত। এই লেকটি ১৯৪২ সালে বেঙ্গল রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ার
ফয়েস খাবার পানি সরবরাহের উদ্দেশ্যে তৈরী করেন। লেকটি তার লামে নামকরণ করা হয়।
ফয়েজ
লেকে ভাসমান স্পিড বোটে চড়ে বেড়ানোর মজাই আলেদা। আবার আপনি চাইলে পাহাড়ের চূড়ায়
উঠে আরো বেশি আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন। তাছাড়া এখানে রয়েছে বিভিন্ন রকমের রাইড
যেমন ফেরি উইল, এপোলো ফ্লাইট, ফাইবার সিপ, চেরি বাম্পার, ফ্যামিলি রোলার কোস্টার,
বাম্পার কার এবং ভিডিও গেমসহ বিভিন্ন ধরনের স্পোর্টস।
কিভাবে যাবেনঃ
সড়ক
পথেঃ
ঢাকা
থেকেঃ বিআরটিসি এর বাসগুলো ছাড়ে ঢাকা কমলাপুর টার্মিনাল থেকে
চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছাড়ে, আর অন্যান্য এসি, ননএসি বাস গুলো ছাড়ে
সায়দাবাদ বাস ষ্টেশন থেকে। আরামদায়ক এবং নির্ভর যোগ্য সার্ভিস গুলো হল এস.আলম ও
সৌদিয়া, গ্রীনলাইন, সিল্ক লাইন, সোহাগ, বাগদাদ এক্সপ্রেস, ইউনিক প্রভূতি। চট্টগ্রাম
শহরের জিরো পয়েন্ট থেকে ৮কিমি দূরে অবস্থিত অপরূপা ফয়স লেক।
অন্য শহর থেকেঃ দেশের প্রায় সব কয়টি জেলার সাথে
চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগ রয়েছে। আপনি আপনার শহর থেকে নিজের পছন্দ মত বাসে এসে
চট্টগ্রাম শহরে এ কে খানে নামবেন এবং সেখান থেকে সি এন জি বা রিক্সা যোগে চলে
যাবেন ফয়স লেকে।
নদী পথেঃ
বরিশাল, খুলনা পটুয়াখালী ইত্যাদি জেলার সাথে
চট্টগ্রামের রয়েছে লঞ্চ/ইস্টিমার সার্ভিস। সুতরাং আপনি নদী পথে ও চট্টগ্রাম আসতে
পারেন।
রেলওয়েঃ
ঢাকা থেকে আশুগঞ্জ, ভৈরব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আখাউড়া,
কুলিল্লা, চান্দপুর, ফেনী হয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ট্রেন সার্ভিস রয়েছে।
তাছাড়া সিলেট থেকে ও ট্রেন সার্ভিস রয়েছে।