নেয়ামতুল্লাহ শিষ্যসহ বজরায় চড়ে গঙ্গা নদী অতিক্রম করে বিষখালী নদীতে (তৎকালীন চন্দ্রদ্বীপে) নোঙ্গর করেন। তখন শাহ সুজার অনুরোধে ওই গ্রামে এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। শাহ নেয়ামতুল্লাহর নামের সঙ্গে মিল রেখেই বিবিচিনি গ্রামের পার্শ্ববর্তী গ্রামের নাম নেয়ামতি। এক সময় অঞ্চলটি ছিল মগ-ফিরিঙ্গিদের আবাস্থল। তাদের হামলার প্রতিরোধে মসজিদটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। শাহ সুজা মগ ফিরিঙ্গীদের দমনের জন্য ঝালকাঠির সুজাবাদে এক সেনানিবাস গড়ে তোলেন, যা সুজাবাদ কেল্লা নামে পরিচিত।
ওই সময় বিষখালী নদীর পানি ছিল লবণাক্ত। সুপেয় পানির অভাবে মানুষের কষ্ট দেখে শাহ নেয়ামতুল্লাহ নিজের তসবিহ নদীতে ভিজিয়ে নেন, এতে পনি সুপেয় হয়। আজও পানি একই অবস্থায় রয়েছে। তাছাড়া সে যুগে সুন্দরবন সংলগ্ন এ নদীতে অসংখ্য কুমির ছিল। তার অলৌকিকতার কারণে কুমির আসত না। এমন অনেক কাহিনী আজও প্রচলিত রয়েছে। তার রেশ ধরে এখনো মনোবাসনা পূরণে প্রতিদিন অগণিত নারী-পুরুষ মসজিদে নামাজ আদায় করেন। টাকা-পয়সা ও অন্যান্য মানতের মালামাল রেখে যান।